সুদীর্ঘ সংঘাম, ত্রিশ লক্ষ জীবন ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভমের বিনিময়ে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সফল নেতৃত্বে অজিত আমাদের এই স্বাধীনতা । এই রততন্নাত স্বাধীনতার রক্তিম আকাশে দেদীপ্যমান সূর্যের মত জুলছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের সফল অস্যুদয়ের পর বঙ্গবন্ধু যখন বাঙালী জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির বিভিন্ন বৈপ্লবিক কর্মসূচী দিয়ে যুদ্ধ-বিধবস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হলো বঙবন্ধকে এবং সেই সাথে ঘুরিয়ে দেয়া হলো বাঙালী জাতির অগ্রগতির চাকাকে। স্বাধীনতার তিন বছরের শিশু সূর্য ঢাকা পড়লো ঘাতক দালালদের পৈশাচিকতার আড়ালে। বিকৃত করা হলো বাঙালীর আতুপরিচয় ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে । অস্বীকার করা হলো সর্বজনস্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর এ্রতিহাসিক আত্ৃত্যাগকে । প্রগতি ও উন্নয়নের বিজয়কেতন মুখ থুবড়ে পড়লো প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী শক্তির কাছে। সুষ্ঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন, নিত্য নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, বিকাশ ও তার সফল বাস্তবায়নই হচ্ছে উন্নয়নের মূলনীতি এবং পেশাগত কারণে সেগুলির শুরুদায়িত্ব বর্তার প্রকৌশলী সমাজের উপর । কিন্ত বিচ্ছিন্নভাবে একজন প্রকৌশলীর পক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শ. তথ্য বাস্তবায়ন তথা সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়। তাই আজ সময়ের আহবানে বাঙালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধুর আর্দশ অনুসারী সকল দেশপ্রেমিক প্রকৌশলীদের একতাবদ্ধ হবার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য । এই কারণে দরকার প্রকৌশলী ও স্থপতিদের জন্য একটি সংগঠন, একটি পূর্ণাংগ ও সুশৃঙ্খলিত কমিটি, যার মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাহায্যে প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র নস্যাত করে ও অজ্ঞ আমলাতান্তিক জটিলতা কাটিয়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিকে প্রকৌশল ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের পাশে দাঁড় করিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্রু সোনার বাংলা গড়তে পারি। উপরোল্লিধিত উদ্দেশ্য ও আর্রশকে সামনে রেখে একটি সংগঠন গড়ার লক্ষ্যে একটি গঠনতন্ত্র প্রস্তাব করা হলো। এই গঠনতন্ত্র বা সংবিধানের যে কোন ধারা- উপধারা বা অনুচ্ছেদ পরিবর্তনশীল এবং সময়ের প্রয়োজনে বার্ষিক–বা-জরুরী সাধারণ সভার মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ দুই তৃতীয়াংশ ভোটে এর যে কোন অংশ পরিবর্তন করা যাবে। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যবৃন্দ।